সাইফের ডাবল সেঞ্চুরি, রনির বোলিং জাদু
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন সাইফ হাসান। তবে সেঞ্চুরির পরপরই কাল আঘাত পেয়ে আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। সেই আঘাত নিয়েই আজ নেমেছিলেন ব্যাটিংয়ে। নেমে আরও বড় স্কোর গড়লেন এই তরুণ তারকা। আজ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাইফ।
ঢাকা বিভাগের ব্যাটসম্যানকে আউটই করতে পারেনি রংপুর বিভাগের বোলাররা। সাইফ ২২০ রানে অপরাজিত থাকার সময় ৮ উইকেটে ৫৫৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা বিভাগ। পরে ২ উইকেটে ৭১ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে রংপুর বিভাগ।
৩২৯ বল খেলে ১৯টি চার ৪টি ছক্কায় ২২০ রান করেছেন। ঢাকার পক্ষে রনি তালুকদার ৬৫ ও নাদিফ চৌধুরী ৬১ রান করেছেন। রংপুর বিভাগের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ ও সঞ্জিত সাহা।
এগিকে, বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তরুণ পেসার আবু হায়দার রনি। ১৬.৫ ওভার বোলিং করে ৫৫ রান খরচায় পাঁচ উইকেট দখল করেছেন তিনি। রনির দারুণ বোলিংয়ের পরও অবশ্য প্রথম ইনিংসে ৩১৯ রান তুলেছে সিলেট।
সিলেটের হয়ে জাকের আলি ও জাকির হোসেন প্রত্যেকে ৭১ রান করে করেছেন। তাওফিক খান ৬১ ও অলক কাপালি ৫৪ রান করেছেন। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বিনা উইকেটে ৯ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ঢাকা মেট্রো। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রান তোলে ঢাকা।
দিনের অপর ম্যাচে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে বেশ সুবিধাজনক স্থানে চট্টগ্রাম বিভাগ। চার উইকেটে ২৬১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা চট্টগ্রাম শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৩৫৬ রানে। দলটির হয়ে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৯১, ইয়াছির আলি ৭০ ও মাসুম খান ৫০ রান করেন। বরিশালের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মনির হোসেন। পরে ৪ উইকেটে ১০৪ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বরিশাল।
খুলনায় খুলনা বিভাগ বনাম রাজশাহী বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে অনেকটা সমান সমান অবস্থা। শেষ পর্যন্ত ২৬১ রানে থেমেছে রাজশাহীর ইনিংস। পরে ৬ উইকেটে ২২৭ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে খুলনা। খুলনার হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডেও রান পেয়েছেন ইমরুল কায়েস।
প্রথম রাউন্ডে ডাবল সেঞ্চুরি করা ইমরুল অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন, আউট হয়েছেন ৯৩ রানে। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন তুষার ইমরান।